সরস্বতী পুজোয় রয়েছে যোগ, কোন সময়ে দেবীর পুজো করলে ইচ্ছে পূরণ হবে?-সরস্বতী পুজোয় বিশেষ যোগ

সরস্বতী পুজোয় রয়েছে যোগ, কোন সময়ে দেবীর পুজো করলে ইচ্ছে পূরণ হবে?-সরস্বতী পুজোয় বিশেষ যোগ


মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে প্রতি বছর বসন্ত পঞ্চমী বা সরস্বতী পুজো উদযাপিত হয়। হিন্দু ধর্ম মতে, সরস্বতী হলেন জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী। শ্বেত শুভ্র সাজে বীণা হাতে আমাদের কাছে আসেন মা সরস্বতী। হাতে বীণা থাকার কারণে দেবী বীণাপাণি। এ দিন সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ম্বড়ে বাগদেবীর আরাধনা করেন পড়ুয়ারা। বিদ্যা, বুদ্ধি ও জ্ঞানের প্রার্থনা করেন মায়ের কাছে।

সরস্বতী পুজোর দিন বাচ্চাদের হাতে খড়ি দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। শিল্পীরাও এ দিন দেবী সরস্বতীকে প্রণাম জানিয়ে নতুন শিল্পকর্ম শুরু করেন। ২০২৩ সালে সরস্বতী পুজো কবে পড়েছে? জেনে নিন পুজোর তিথি, শুভক্ষণ ও তাৎপর্য সম্পর্কে-

সরস্বতী পুজোর আগে কেন কুল খেতে নেই? জানুন এর আসল কারণ

সরস্বতী পুজোর তিথি ও শুভক্ষণ

পঞ্চমী তিথি শুরু হচ্ছে - ২৫ জানুয়ারি, দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিটে।

পঞ্চমী তিথি শেষ হবে - ২৬ জানুয়ারি, সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে।

উদয় তিথি অনুসারে বসন্ত পঞ্চমী বা সরস্বতী পুজো উদযাপিত হবে ২৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার।

সরস্বতী পুজোর শুভ সময় - সকাল ৭টা ১২ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত।

এই শুভ যোগে দেবী সরস্বতীর আরাধনা করলে ভক্তদের সকল ইচ্ছে পূরণ হয়।

সরস্বতী পুজোয় বিশেষ যোগ

হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, চলতি বছর সরস্বতী পুজোয় চারটি শুভ যোগ গঠিত হবে - সিদ্ধ যোগ, সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ, শিব যোগ এবং রবি যোগ।

আরো পড়ুনঃ
মহাভারতের যুদ্ধে অভিমন্যুকে কেন বাঁচালেন না শ্রী কৃষ্ণ? ভগবান শ্রী কৃষ্ণ এমন কেন করলেন?


সরস্বতী পুজোর তাৎপর্য

বসন্ত পঞ্চমীর দিন স্কুল, কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়। এই দিনে ভক্তিভরে দেবী সরস্বতীর পূজা করলে বিদ্যা, বুদ্ধি ও জ্ঞানের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারে উন্নতি হয়।

সরস্বতী পুজোর দিনটি শিক্ষা বা অন্য কোনও শিল্পকলা শুরু করার জন্য অত্যন্ত শুভ মানা হয়। পূজার সময়ে হলুদ বস্ত্র পরিধান করলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি আসে।

বসন্ত পঞ্চমীতে কেন সরস্বতী পূজা হয়?

পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, বসন্ত পঞ্চমীতেই মা সরস্বতীর জন্ম হয়েছিল। এ দিন দেবী সরস্বতী ব্রহ্মার মুখ থেকে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সরস্বতীকে সকল বেদের মা বলে মনে করা হয়। সকল শব্দ ও ভাষার উত্‍পত্তি তাঁর থেকে হয়েছিল বলে ব্রহ্মা সরস্বতীর নাম দেন বাগদেবী। মা সরস্বতীকে বিদ্যা, প্রজ্ঞা, সঙ্গীত, শিল্প ও জ্ঞানের দেবী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

কথিত আছে, এই দিনই মূর্খ কালিদাস দেবীর আরাধনা করে তাঁর দর্শন পেয়েছিলেন এবং দেবীর বরলাভেই হয়ে উঠেছিলেন মহাকবি কালিদাস।

Disclaimer: এই আর্টিকেলটি সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। এখানে যে সব কথা বলা হয়েছে, তা যে পুরোপুরি সঠিক হবে, এমনটা দাবি করছে না সনাতন হিন্দু। এই তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত।

Post a Comment

0 Comments